প্রসূতি মায়ের কাছে দশভূজা হয়ে দাঁড়ালেন স্বাস্থ‍্য কর্মীরা : জলবন্দী এলাকা থেকে আনলেন হাসপাতালে

3rd October 2021 6:58 pm হুগলী
প্রসূতি মায়ের কাছে দশভূজা হয়ে দাঁড়ালেন স্বাস্থ‍্য কর্মীরা : জলবন্দী এলাকা থেকে আনলেন হাসপাতালে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : একদিকে মহামারী আতঙ্ক অন্যদিকে প্রকৃতির বিরূপ প্রতিক্রিয়া। টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল জনজীবন। ভেসে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। বিশেষ করে হুগলী জেলার খানাকুলের মানুষের  জনজীবন চরম সংকটে। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো প্রতিদিন গুনছে প্রহর। তার মাঝে সমস্যায় পড়লো খানাকুলের নবাসন গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা মহিলা সুপ্রিয়া দলুই। অন্তঃসত্ত্বা মহিলার যখন গর্ভ যন্ত্রণা শুরু হয় সেই সময় বিপত্তি ঘটে। ঠিক সেই সময় দুর্গার মতো মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা এগিয়ে আসে। স্পিড বোর্ড  জোগাড় করে সুপ্রিয়া দলুইকে নিয়ে আসে স্থানীয় হাসপাতালে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে একজন গর্ভবতী মহিলার হাত ধরে হয়তো আসবে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আর সেই ভবিষ্যৎ মুখউজ্জ্বল করবে বাংলার। এমন প্রত্যাশা নিয়ে বাংলার দুর্গা স্বাস্থ্যকর্মীরা এগিয়ে এলো আর এক মায়ের হাত ধরে। খুশীর খবর চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান  সুস্থ আছেন প্রসূতি। এবিষয়ে হুগলীর জেলা শাসক পি দীপা প্রিয়া জানান,জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক ডাঃ রমা ভুঁইয়ার নেতৃত্ব খুব ভালো কাজ করছে স্বাস্থ্য কর্মিরা। খানাকুলে বানভাসী মানুষকে যথাযথ সাহায্য করছে।ত্রাণ শিবির গুলোতে ওষুধ দেওয়া থেকে যা প্রয়োজন তা দেওয়া হচ্ছে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।